ময়মনসিংহ বিভাগে ৩য় বারের মতো শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সামিউল ইসলাম

সারাদেশে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে। ময়মনসিংহ বিভাগে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ -২০২৪ এর ফলাফল ঘোষণা করা হয় ১৬ মে (বৃহস্পতিবার)।

এ বছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে (২০২৪) ময়মনসিংহ বিভাগে ৩য় বারের মতো শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কারিগরি) নির্বাচিত হলেন সামিউল ইসলাম। তিনি ভালুকা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হালিমুন্নেছা চৌধুরানী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তিনি জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ-২০২২ এর ইংরেজি বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডর শিক্ষক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা আইসিটি ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর একাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, তিনি ২০১৮, ২০১৯, ২০২২,২০২৩ এবং ২০২৪ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২২ , ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ময়মনসিংহ জেলা ও ময়মনসিংহ বিভাগে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন।

সামিউল ইসলাম বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমি আজকের এ সাফল্যে অনেক আনন্দিত। শিক্ষক হচ্ছেন জাতি গড়ার কারিগর। আমি শৈশবকাল থেকে স্বপ্ন দেখতাম একজন আদর্শ শিক্ষক হয়ে জাতি বিনির্মানে ভূমিকা রাখবো। আমি শিক্ষক পরিবারের সন্তান। বাবা একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমার স্ত্রীও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ভালোলাগা থেকে শিক্ষকতা পেশায় এসেছি আমি। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের ভালো কিছু শেখানোর জন্য। আমি আমার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে ওঠার জন্য কো-কারিকুলার এক্টিভিটিস এর ওপর গুরুত্বারোপ করি। আজকের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যত। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে আগামী দিনের সুখী, সমৃদ্ধ ও দূর্ণীতিমুক্ত দেশ গড়তে পারবো। একজন শিক্ষকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলেই কেবল তা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “আমার প্রতিষ্ঠান প্রধান আনোয়ারা নীনা আপার সার্বিক সহযোগিতা, উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় আমার আজকের এ সাফল্য। তিনি আমাকে সবসময় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। আমার মা – বাবা আমার অর্জনে খুবই আনন্দিত হন। তাদের দোয়া, উৎসাহ আমাকে ভালো কিছু করতে সবসময় অনুপ্রেরণা জোগায়। আমার সহধর্মিণী (বুশরা – ই – জান্নাত) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। তিনিও সবসময় আমাকে ভালো কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগায়। তার প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ। আজকের এ অর্জনের পেছনে তারও অবদান রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাদের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি উপজেলায় একটি আদর্শ ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যার ফলে বিদ্যালয়টি উপজেলায় বারবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। বিদ্যালয়টি এ বছরও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা পর্যায়ে ১৭ টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।”